ইউকে সোশ্যাল মিডিয়া প্রচারকরা পাঁচজনের মধ্যে যাদের মার্কিন ভিসা অস্বীকার করা হয়েছে
আন্তর্জাতিক উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের এক সিদ্ধান্ত, যেখানে পাঁচজন ব্যক্তিকে ভিসা দেওয়া হয়নি, যাদের মধ্যে দুইজন প্রখ্যাত ইউকে সোশ্যাল মিডিয়া প্রচারক, মার্কিন প্রযুক্তি প্ল্যাটফর্মগুলিকে বাধ্য করার অভিযোগে যে তারা মুক্ত বক্তৃতাকে দমন করতে চায়। সেন্টার ফর কাউন্টারিং ডিজিটাল হেট (সিসিডিএইচ)-এর প্রধান ইমরান আহমেদ এবং গ্লোবাল ডিজইনফরমেশন ইন্ডেক্স (জিডিআই)-এর সিইও ক্লেয়ার মেলফোর্ডকে ট্রাম্প প্রশাসন দ্বারা "চরমপন্থী কর্মী" হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে এবং তাদের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়নি।
পররাষ্ট্র দফতরের মতে, পাঁচজন ব্যক্তিকে ভিসা দেওয়া হয়নি কারণ তারা মার্কিন প্রযুক্তি কোম্পানিগুলিকে মুক্ত বক্তৃতাকে দমন করতে বাধ্য করার চেষ্টা করেছে। এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছে মানবাধিকার গোষ্ঠী এবং বিশেষজ্ঞরা, যারা যুক্তি দেখান যে এই সিদ্ধান্তটি মুক্ত বক্তৃতা এবং খোলা বিতর্কের নীতিগুলিকে ক্ষুন্ন করে।
ইমরান আহমেদ, একজন প্রাক্তন লেবার উপদেষ্টা, অনলাইন ঘৃণ্য বক্তৃতা এবং বিভ্রান্তিকর তথ্যের একজন সোচ্চার সমালোচক। তিনি প্রযুক্তি কোম্পানিগুলির সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছেন এই সমস্যাগুলি মোকাবেলার কৌশল বিকাশের জন্য। আহমেদের সেন্টার ফর কাউন্টারিং ডিজিটাল হেট অনলাইন ঘৃণ্য বক্তৃতা মোকাবেলার প্রচেষ্টায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে এবং তার কাজটি ক্ষেত্রে একটি মূল অবদান হিসাবে ব্যাপকভাবে স্বীকৃত।
গ্লোবাল ডিজইনফরমেশন ইন্ডেক্সের সিইও ক্লেয়ার মেলফোর্ডও অনলাইন বিভ্রান্তিকর তথ্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে একটি বিশিষ্ট কণ্ঠস্বর। তার সংস্থাটি অনলাইন বিভ্রান্তিকর তথ্য ট্র্যাক এবং পর্যবেক্ষণ করার জন্য একটি সিস্টেম বিকাশ করেছে, নীতিনির্ধারক এবং প্রযুক্তি কোম্পানিগুলির জন্য মূল্যবান অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করে।
দুই ইউকে প্রচারক ছাড়াও অন্যরাও ভিসা অস্বীকার করা হয়েছে। একজন ফরাসি প্রাক্তন ইইউ কমিশনার এবং জার্মানি-ভিত্তিক অনলাইন ঘৃণ্য বক্তৃতা বিরোধী গোষ্ঠীর দুই সিনিয়র ব্যক্তিত্বকেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়নি। এই সিদ্ধান্তটি আন্তর্জাতিক সহযোগিতা এবং বিশেষজ্ঞদের জ্ঞান ও সর্বোত্তম অনুশীলন ভাগ করে নেওয়ার ক্ষমতার উপর প্রভাব সম্পর্কে উদ্বেগ বাড়িয়েছে।
সেন্টার ফর কাউন্টারিং ডিজিটাল হেটের একজন মুখপাত্রের মতে, "ইমরান আহমেদকে ভিসা অস্বীকার করার সিদ্ধান্তটি ট্রাম্প প্রশাসনের সমালোচকদের নিরস্ত করার এবং মুক্ত বক্তৃতার নীতিগুলিকে ক্ষুন্ন করার ইচ্ছার একটি চমকপ্রদ উদাহরণ। আমরা বাইডেন প্রশাসনকে এই সিদ্ধান্তটি পুনর্বিবেচনা করতে এবং নিশ্চিত করতে উত্সাহিত করি যে ইমরান আহমেদের মতো বিশেষজ্ঞরা তাদের গুরুত্বপূর্ণ কাজ চালিয়ে যেতে পারেন।"
এই সিদ্ধান্তটি মানবাধিকার গোষ্ঠীর দ্বারা সমালোচিত হয়েছে, যারা যুক্তি দেখান যে এটি মুক্ত বক্তৃতার দমনের জন্য একটি বিপজ্জনক পূর্বমধ্যকার সেট করে। "এই সিদ্ধান্তটি সমালোচকদের নিরস্ত করার এবং মুক্ত বক্তৃতার নীতিগুলিকে ক্ষুন্ন করার একটি স্পষ্ট প্রয়াস," আমনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের একজন মুখপাত্র বলেছেন। "আমরা মার্কিন সরকারকে এই সিদ্ধান্তটি পুনর্বিবেচনা করতে এবং নিশ্চিত করতে উত্সাহিত করি যে ইমরান আহমেদের মতো বিশেষজ্ঞরা তাদের গুরুত্বপূর্ণ কাজ চালিয়ে যেতে পারেন প্রতিশোধের ভয় ছাড়াই।"
পাঁচজন ব্যক্তির বর্তমান অবস্থা অস্পষ্ট, তবে এটি আশা করা হচ্ছে যে তারা সিদ্ধান্তটির বিরুদ্ধে আপিল করবে। এই সিদ্ধান্তটি সোশ্যাল মিডিয়ার ভূমিকা নিয়ে আন্তর্জাতিক বিতর্কের সৃষ্টি করেছে মুক্ত বক্তৃতা প্রচারে এবং অনলাইন ঘৃণ্য বক্তৃতা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য মোকাবেলায় আন্তর্জাতিক সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তা।
একটি বিবৃতিতে, মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর বলেছে যে ভিসা অস্বীকার করার সিদ্ধান্তটি মার্কিন আইন অনুসারে নেওয়া হয়েছে এবং পাঁচজন ব্যক্তির দ্বারা মার্কিন প্রযুক্তি প্ল্যাটফর্মগুলিকে মুক্ত বক্তৃতাকে দমন করতে বাধ্য করার অভিযোগের ভিত্তিতে নেওয়া হয়েছে। দফতরটি সিদ্ধান্তটি সম্পর্কে
Discussion
Join 0 others in the conversation
Share Your Thoughts
Your voice matters in this discussion
Login to join the conversation
No comments yet
Be the first to share your thoughts!