রনাল্ড ডেইবার্ট, টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা কেন্দ্র সিটিজেন ল্যাবের পরিচালক, নজরদারি থেকে নিজেকে রক্ষা করার জন্য অসাধারণ ব্যবস্থা নিয়েছেন। ২০২৫ সালের এপ্রিলে, তিনি টরন্টোতে সমস্ত ইলেকট্রনিক ডিভাইস রেখে ইলিনয়েসের একটি বিমানে চড়েছিলেন, যেখানে তিনি অ্যাপল স্টোরে একটি নতুন ল্যাপটপ এবং আইফোন কিনেছিলেন। ডেইবার্ট তার ব্যক্তিগত ডিভাইসগুলি বাজেয়াপ্ত হওয়ার ঝুঁকি কমাতে চেয়েছিলেন, কারণ তিনি জানতেন যে তার কাজ তাকে নজরদারির জন্য একটি প্রধান লক্ষ্য করে তুলেছে। "আমি ধারণা করে ভ্রমণ করছি যে আমি প্রতিটি মুহূর্তে ঠিক কোথায় আছি তা নিয়ে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে," ডেইবার্ট বলেছেন।
ডেইবার্টের সতর্কতা অবলম্বনের সিদ্ধান্ত নেই। সিটিজেন ল্যাবের পরিচালক হিসাবে, তিনি তার কর্মজীবনকে সাইবার হুমকি তদন্ত এবং ডিজিটাল অপব্যবহারের অভিযোগ প্রকাশের জন্য উত্সর্গ করেছেন। ২০০১ সালে প্রতিষ্ঠিত, ল্যাবটি সরকার বা কর্পোরেট স্বার্থ থেকে স্বাধীনভাবে কাজ করে, আর্থিক সহায়তার জন্য গবেষণা অনুদান এবং বেসরকারি পরোপকারিতার উপর নির্ভর করে। এর কাজ গত দুই দশকের কিছু সবচেয়ে বেশি ডিজিটাল অপব্যবহারের অভিযোগ প্রকাশের দিকে পরিচালিত করেছে।
সাইবার হুমকির উপর সিটিজেন ল্যাবের ফোকাস ডেইবার্ট এবং তার সহকর্মীদের সরকার এবং কর্পোরেশনগুলির অনুশীলনগুলি পরীক্ষা করতে পরিচালিত করেছে। অনেক বছর ধরে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে উদার গণতন্ত্রের একটি মান হিসাবে ধরা হয়েছে, তবে ডেইবার্ট বলেছেন যে এটি পরিবর্তিত হচ্ছে। "গণতন্ত্রের স্তম্ভগুলি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আক্রমণের শিকার হচ্ছে," তিনি বলেছেন। ডেইবার্টের উদ্বেগ শুধুমাত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সীমাবদ্ধ নয়। তিনি অন্যান্য দেশগুলির নজরদারি অনুশীলনেরও সমালোচনা করেছেন, যার মধ্যে রয়েছে ফাইভ আইস জোটের দেশগুলি, যার মধ্যে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ড।
ডেইবার্টের কাজের প্রভাব রয়েছে প্রযুক্তি শিল্পে, বিশেষ করে সাইবার নিরাপত্তা এবং ডেটা সুরক্ষার ক্ষেত্রে। স্পাইওয়্যার এবং অন্যান্য ধরনের নজরদারি প্রযুক্তির ব্যবহার ক্রমবর্ধমানভাবে সাধারণ হয়ে উঠেছে, এবং ডেইবার্টের গবেষণা এই প্রযুক্তিগুলি কীভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে তা প্রকাশ করেছে। ডেইবার্টের ফলাফলের প্রতিক্রিয়ায়, কিছু প্রযুক্তি কোম্পানি তাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা উন্নত করার জন্য পদক্ষেপ নিয়েছে। অ্যাপল, উদাহরণস্বরূপ, তার ডিভাইসগুলিতে বিভিন্ন নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য বাস্তবায়ন করেছে, যার মধ্যে রয়েছে এনক্রিপশন এবং সুরক্ষিত বুট প্রক্রিয়া।
এই প্রচেষ্টা সত্ত্বেও, ডেইবার্ট নজরদারির ঝুঁকি সম্পর্কে উদ্বিগ্ন রয়েছেন। তিনি বিশ্বাস করেন যে ব্যক্তিদের গোপনীয়তার অধিকার রয়েছে এবং সরকার ও কর্পোরেশনগুলিকে তাদের কর্মের জন্য দায়বদ্ধ করা উচিত। "আমাদের আমাদের জীবনে প্রযুক্তির ভূমিকা এবং এর সাথে আসা ঝুঁকিগুলি সম্পর্কে আরও সূক্ষ্ম আলোচনা করা উচিত," ডেইবার্ট বলেছেন। সিটিজেন ল্যাব তার কাজ চালিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে, ডেইবার্টের সতর্কতা সম্ভবত অগ্রাধিকার থাকবে, কারণ তিনি সাইবার হুমকি এবং নজরদারির জটিল ল্যান্ডস্কেপ নেভিগেট করেন।
সিটিজেন ল্যাবের গবেষণার ব্যাপক প্রভাব রয়েছে ব্যক্তি, সরকার এবং কর্পোরেশনের জন্য। ডেইবার্টের কাজ ডিজিটাল অপব্যবহারের অভিযোগ প্রকাশ করা চালিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে, এটি সম্ভবত প্রযুক্তি শিল্পকে তার নিরাপত্তা ব্যবস্থা সামঞ্জস্য করতে এবং উন্নত করতে বাধ্য করবে। এই মধ্যে, ডেইবার্টের মতো ব্যক্তিরা নজরদারি থেকে নিজেদের রক্ষা করার জন্য সতর্কতা অবলম্বন করতে থাকবে।
Discussion
Join 0 others in the conversation
Share Your Thoughts
Your voice matters in this discussion
Login to join the conversation
No comments yet
Be the first to share your thoughts!