মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সোশ্যাল মিডিয়া বিতর্কের কারণে ভিসা ব্লক করেছে
মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর ঘোষণা করেছে যে তারা পাঁচজন ব্যক্তিকে ভিসা দেবে না, যাদের মধ্যে একজন প্রাক্তন ইউরোপীয় ইউনিয়নের কমিশনার রয়েছেন, কারণ তারা মার্কিন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলিকে তাদের বিরোধী মতামতগুলিকে দমন করতে বাধ্য করার চেষ্টা করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এই সিদ্ধান্তটি একটি বিস্তৃত প্রচেষ্টার অংশ হিসাবে নেওয়া হয়েছে যাতে মুক্ত বক্তৃতা রক্ষা করা যায় এবং মার্কিন সোশ্যাল মিডিয়া কোম্পানিগুলির উপর বিদেশী প্রভাব রোধ করা যায়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর একটি বিবৃতি অনুসারে, প্রশ্নবিদ্ধ ব্যক্তিরা "চরমপন্থী কর্মীবৃন্দ এবং অস্ত্রীভূত এনজিও" যারা বিদেশী রাষ্ট্রগুলির দ্বারা সেন্সরশিপ ক্র্যাকডাউনগুলি এগিয়ে নিয়েছে, যা মার্কিন বক্তা এবং কোম্পানিগুলিকে লক্ষ্য করে। রুবিওর বিবৃতি পাঁচজন ব্যক্তিকে ভিসা অস্বীকার করার সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ায় দেওয়া হয়েছিল, যার মধ্যে ইউরোপীয় কমিশনের প্রাক্তন শীর্ষ প্রযুক্তি নিয়ন্ত্রক থিয়েরি ব্রেটন রয়েছেন।
ব্রেটন, যিনি অতীতে এলন মাস্কের সাথে সংঘর্ষ করেছেন, সূত্রগুলি অনুসারে পরামর্শ দিয়েছেন যে একটি "ডাইন হান্ট" চলছে। তবে, রুবিওর বিবৃতি নির্দেশ করে যে মার্কিন সরকার মুক্ত বক্তৃতা দমনের চেষ্টা বিরুদ্ধে একটি দৃঢ় অবস্থান নিচ্ছে।
পাঁচজন ব্যক্তিকে ভিসা অস্বীকার করার সিদ্ধান্তটি মার্কিন সোশ্যাল মিডিয়া কোম্পানিগুলিকে বিদেশী প্রভাব থেকে রক্ষা করার একটি বিস্তৃত প্রচেষ্টার অংশ। রুবিওর মতে, মার্কিন সরকার এই কোম্পানিগুলিকে তাদের বিরোধী মতামতগুলিকে দমন করতে বাধ্য বা ম্যানিপুলেট করার চেষ্টা সহ্য করবে না।
এই সিদ্ধান্তটি কিছু ক্ষেত্র থেকে সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছে, ব্রেটন এবং অন্যরা পরামর্শ দিয়েছেন যে মার্কিন সরকার তার সীমানা অতিক্রম করছে। তবে, মার্কিন সরকার দাবি করে যে এটি শুধুমাত্র মার্কিন মুক্ত বক্তৃতা রক্ষা করছে এবং মার্কিন সোশ্যাল মিডিয়া কোম্পানিগুলির উপর বিদেশী প্রভাব রোধ করছে।
বিষয়টির পটভূমি নির্দেশ করে যে মার্কিন সরকার আমেরিকান সোশ্যাল মিডিয়া বক্তৃতাকে গঠন করার ক্ষেত্রে বিদেশী সরকারগুলির ভূমিকা সম্পর্কে ক্রমবর্ধমানভাবে উদ্বিগ্ন। পাঁচজন ব্যক্তিকে ভিসা অস্বীকার করার সিদ্ধান্তটি বিদেশী প্রভাব প্রতিরোধ এবং মার্কিন মুক্ত বক্তৃতা রক্ষার একটি বিস্তৃত প্রচেষ্টার অংশ হিসাবে দেখা হয়।
সম্পর্কিত খবরে, মার্কিন সরকার বিদেশী প্রভাব প্রতিরোধ এবং মার্কিন মুক্ত বক্তৃতা রক্ষার প্রচেষ্টায় সোশ্যাল মিডিয়া কোম্পানিগুলির আশেপাশে তার আইন এবং নিয়মগুলি শক্তিশালী করার চেষ্টা করছে। এই পদক্ষেপটি প্রযুক্তি শিল্পে স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা প্রচার করার একটি বিস্তৃত প্রচেষ্টার অংশ হিসাবে দেখা হয়।
পরিস্থিতি চলতে থাকার সাথে সাথে, এটি এখনও অস্পষ্ট যে মার্কিন সরকার বিদেশী প্রভাব থেকে মার্কিন সোশ্যাল মিডিয়া কোম্পানিগুলিকে রক্ষা করার প্রচেষ্টায় এগিয়ে যাবে কিভাবে। তবে, একটি বিষয় স্পষ্ট: মার্কিন সরকার মুক্ত বক্তৃতা দমনের চেষ্টা এবং মার্কিন সোশ্যাল মিডিয়া বক্তৃতাকে ম্যানিপুলেট করার বিরুদ্ধে একটি দৃঢ় অবস্থান নিচ্ছে।
উত্স:
- বিবিসি ওয়ার্ল্ড: "মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সোশ্যাল মিডিয়া নিয়মের কারণে প্রাক্তন ইইউ কমিশনার এবং অন্যদের ভিসা অস্বীকার করেছে"
- বিবিসি টেকনোলজি: "মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সোশ্যাল মিডিয়া নিয়মের কারণে প্রাক্তন ইইউ কমিশনার এবং অন্যদের ভিসা অস্বীকার করেছে"
- বিবিসি বিজনেস: "মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সোশ্যাল মিডিয়া নিয়মের কারণে প্রাক্তন ইইউ কমিশনার এবং অন্যদের ভিসা অস্বীকার করেছে"
Discussion
Join 0 others in the conversation
Share Your Thoughts
Your voice matters in this discussion
Login to join the conversation
No comments yet
Be the first to share your thoughts!