ইউক্রেনীয় সেনারা পূর্বের সংগ্রামরত শহর সিভেরস্ক থেকে পিছু হটতে শুরু করেছে, যখন রাশিয়া তার ধীরগতিশীল অগ্রগতি অব্যাহত রাখে। ইউক্রেনীয় সামরিক বাহিনী বলেছে যে তারা "আমাদের সৈন্যদের জীবন এবং ইউনিটের যুদ্ধ ক্ষমতা সংরক্ষণ করার জন্য" এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এবং রাশিয়ার বাহিনীর "মানবশক্তিতে উল্লেখযোগ্য সুবিধা" রয়েছে। সিভেরস্ক দখল রাশিয়াকে শেষ অবশিষ্ট "দুর্গ বেল্ট" শহরগুলির কাছাকাছি নিয়ে আসে, যেমন স্লোভিয়ানস্ক এবং ক্রামাটোরস্ক, যা এখনও ইউক্রেনের শিল্প দোনেতস্ক অঞ্চলে ইউক্রেনের হাতে রয়েছে।
কর্মকর্তাদের মতে, সিভেরস্ক থেকে প্রত্যাহারের জন্য ইউক্রেনীয় সামরিক বাহিনীর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল রাশিয়ার বাহিনী দ্বারা ধারণ করা উল্লেখযোগ্য মানবশক্তি সুবিধার প্রতিক্রিয়া হিসাবে। "উল্লেখযোগ্য ক্ষতির পরেও, রাশিয়ান সৈন্যরা সিভেরস্ক এলাকায় সক্রিয় আক্রমণাত্মক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে," ইউক্রেনীয় সামরিক বাহিনী বলেছে। সিভেরস্ক থেকে ইউক্রেনীয় সৈন্যদের প্রত্যাহার ইউক্রেনের জন্য একটি উল্লেখযোগ্য ক্ষতি চিহ্নিত করে, কারণ শহরটি এই অঞ্চলে একটি মূল দুর্গ ছিল।
সিভেরস্ক দখল রাশিয়ার জন্য একটি কৌশলগত বিজয়, কারণ এটি দেশটিকে শেষ অবশিষ্ট "দুর্গ বেল্ট" শহরগুলির কাছাকাছি নিয়ে আসে, যেমন স্লোভিয়ানস্ক এবং ক্রামাটোরস্ক। এই শহরগুলি এখনও ইউক্রেনের হাতে রয়েছে এবং শিল্প দোনেতস্ক অঞ্চলে দেশের প্রতিরক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়। ইউক্রেনীয় সামরিক বাহিনী বলেছে যে তারা এই শহরগুলিকে সমস্ত খরচে রক্ষা করবে।
ইউক্রেনে পরিস্থিতি ফেব্রুয়ারি ২০২২ সালে রাশিয়া পূর্ণমাত্রায় আক্রমণ শুরু করার পর থেকে চলছে। বর্তমানে মস্কো ইউক্রেনের প্রায় ২০% এলাকা নিয়ন্ত্রণ করছে। সংঘর্ষের ফলে উল্লেখযোগ্য প্রাণহানি এবং মানুষের স্থানচ্যুতি ঘটেছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ইউক্রেনকে সাহায্য ও সমর্থন প্রদানের জন্য কাজ করছে, তবে পরিস্থিতি এখনও জটিল ও চ্যালেঞ্জিং।
সিভেরস্ক দখলের প্রভাব উল্লেখযোগ্য, কারণ এটি দোনেতস্ক অঞ্চলের উপর ইউক্রেনের নিয়ন্ত্রণের আরও ক্ষয় নির্দেশ করে। সিভেরস্ক হারানো সম্ভবত ইউক্রেনীয় জনগণের উপর একটি মানসিক প্রভাব ফেলবে, যারা এক বছরেরও বেশি সময় ধরে তাদের দেশ রক্ষার জন্য লড়াই করছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করবে যে ইউক্রেন এই ক্ষতির প্রতিক্রিয়া কীভাবে দেখায় এবং কীভাবে তারা তাদের অঞ্চল রক্ষা করবে।
ইউক্রেনের বর্তমান পরিস্থিতি এখনও তরল, উভয় পক্ষই সক্রিয় যুদ্ধে লিপ্ত। ইউক্রেনীয় সামরিক বাহিনী বলেছে যে তারা সমস্ত খরচে তাদের অঞ্চল রক্ষা করবে, তবে সিভেরস্ক দখল দেশটির জন্য একটি উল্লেখযোগ্য পিছুহঠতা চিহ্নিত করে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করবে যে পরবর্তী দিন ও সপ্তাহগুলিতে পরিস্থিতি কীভাবে বিকাশ লাভ করে।
Discussion
Join 0 others in the conversation
Share Your Thoughts
Your voice matters in this discussion
Login to join the conversation
No comments yet
Be the first to share your thoughts!