ইয়েমেনের যুদ্ধরত গোষ্ঠীগুলি সোমবার হাজার হাজার বন্দীদের মুক্তি দেওয়ার বিষয়ে একমত হয়েছে, যা এক দশকেরও বেশি সময় ধরে দেশটিতে গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে সবচেয়ে বড় বন্দী বিনিময় হবে। চুক্তিটি হুথি বিদ্রোহী এবং ইয়েমেনের আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকারের মধ্যে প্রায় ২,৯০০ জন বন্দীর বিনিময় সম্পর্কে, বন্দী বিষয়ক হুথি কর্মকর্তা আব্দুল কাদের আল-মোর্তাদার মতে।
ইয়েমেন গৃহযুদ্ধে একজন নেতৃস্থানীয় মধ্যস্থতাকারী ওমানে ১২ দিনের বন্ধ দরজার আলোচনার পর চুক্তিটি পৌঁছেছে। আল-মোর্তাদা সামাজিক মিডিয়াতে একটি বিবৃতিতে চুক্তির ঘোষণা দিয়েছেন, বলেছেন, "আমরা আমাদের ১,৭০০ জন বন্দীর বিনিময়ে তাদের ১,২০০ জন বন্দী, যার মধ্যে ৭ জন সৌদি এবং ২৩ জন সুদানী রয়েছে, সেই অন্য পক্ষের সাথে একটি ব্যাপক বিনিময় চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছি।"
বন্দী বিনিময়টি জাতিসংঘ এবং রেড ক্রস দ্বারা মধ্যস্থতা করা হয়েছিল, যে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলি ইয়েমেনে সংঘর্ষের অবসান ঘটাতে কাজ করছে। ২০১৪ সালের শেষের দিকে হুথিদের যখন রাজধানী সানাকে দখল করেছিল তখন যুদ্ধ শুরু হয়েছিল, তখন থেকে একটি ২০২২ সালের যুদ্ধবিগ্রহের পর থেকে যুদ্ধটি বড় অংশে একটি অচলাবস্থায় পরিণত হয়েছে। যুদ্ধ শুরু হওয়ার আগে ইয়েমেন ইতিমধ্যেই বিশ্বের সবচেয়ে দরিদ্র দেশগুলির মধ্যে একটি ছিল, এবং সংঘর্ষে শত শত হাজার বেসামরিক লোক নিহত হয়েছে এবং একটি ভয়াবহ মানবিক সংকট তীব্র হয়েছে।
সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের মতো অঞ্চলের অন্যান্য দেশগুলি সংঘর্ষে জড়িত হয়েছে, যারা ইয়েমেন সরকারকে সামরিক সহায়তা প্রদান করছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় সংঘর্ষের একটি শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য ডাকছে, এবং বন্দী বিনিময়টি এই লক্ষ্যে একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসাবে দেখা হচ্ছে।
বন্দী বিনিময়টি অঞ্চলের জটিল মিত্রতা এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতার ক্ষেত্রেও একটি উল্লেখযোগ্য বিকাশ। সংঘর্ষে সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের জড়িত থাকা যুদ্ধের তীব্রতা একটি প্রধান কারণ, এবং বন্দী বিনিময়টি এই দেশগুলি এবং হুথি বিদ্রোহীদের মধ্যে উত্তেজনা কমানোর একটি উপায় হিসাবে দেখা যেতে পারে।
বন্দী বিনিময়ের বর্তমান অবস্থা হল যে বিনিময়টি আসন্ন সপ্তাহগুলিতে সংঘটিত হবে, যদিও সঠিক সময় ঘোষণা করা হয়নি। চুক্তিটি শান্তি প্রক্রিয়ায় একটি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হিসাবে দেখা হচ্ছে, এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলি ইয়েমেনে সংঘর্ষের অবসান ঘটানোর জন্য অব্যাহত প্রচেষ্টার জন্য আহ্বান জানাচ্ছে।
Discussion
Join 0 others in the conversation
Share Your Thoughts
Your voice matters in this discussion
Login to join the conversation
No comments yet
Be the first to share your thoughts!