লন্ডনে একটি মোমবাতি প্রজ্বালন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে ইসরায়েলি কারাগারে অভিযুক্ত না হয়ে হাজার হাজার ফিলিস্তিনিদের দুর্দশার বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য। ডিসেম্বর ২০, ২০২৫ তারিখে অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে লাল রিবন এবং ফিলিস্তিনি পতাকা প্রদর্শিত হয়েছে, যা বন্দীদের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে। মোমবাতি প্রজ্বালন অনুষ্ঠানটি গাজার কামাল আদওয়ান হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ হুসাম আবু সাফিয়ার উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে, যিনি প্রায় এক বছর ধরে আটক আছেন।
মোমবাতি প্রজ্বালন অনুষ্ঠানের আয়োজকরা ডাঃ আবু সাফিয়া এবং অন্যান্য ফিলিস্তিনি বন্দীদের দীর্ঘস্থায়ী আটকের বিষয়ে তাদের উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। "আমরা ডাঃ আবু সাফিয়া এবং অন্যান্য সমস্ত ফিলিস্তিনি বন্দীদের সমর্থন দেখাতে এখানে আছি, যাদেরকে অভিযুক্ত না করে আটক করা হয়েছে," অনুষ্ঠানের একজন মুখপাত্র বলেছেন। "তাদের আটক মানবাধিকার এবং আন্তর্জাতিক আইনের স্পষ্ট লঙ্ঘন।" মুখপাত্র ইসরায়েলকে অপরাধের প্রমাণ দেওয়ার এবং বন্দীদের মুক্তি দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছেন।
ফিলিস্তিনি বন্দীদের আটক ইসরায়েল-ফিলিস্তিন দ্বন্দ্বে একটি দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। মানবাধিকার গোষ্ঠীর মতে, হাজার হাজার ফিলিস্তিনিকে ইসরায়েলি কারাগারে অভিযুক্ত বা বিচার ছাড়াই আটক করা হয়েছে। এই বন্দীদের অনেকেই দীর্ঘ সময় ধরে আটক আছে, কেউ কেউ যার মৃত্যুদণ্ডের মুখোমুখি হয়েছে। ইসরায়েলি সরকার দাবি করেছে যে এই আটকগুলি জাতীয় নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয়, কিন্তু সমালোচকরা যুক্তি দেন যে এই অনুশীলনটি এক ধরনের সমষ্টিগত শাস্তি।
লন্ডনে অনুষ্ঠিত মোমবাতি প্রজ্বালন অনুষ্ঠানটি ফিলিস্তিনি বন্দীদের দুর্দশার বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য একটি বৈশ্বিক প্রচারণার অংশ ছিল। প্যারিস, বার্লিন এবং নিউ ইয়র্ক সহ বিশ্বের অন্যান্য শহরেও একই ধরনের অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রচারণাটি ইসরায়েলি সরকারকে বন্দীদের মুক্তি দিতে এবং অপরাধের প্রমাণ দিতে চাপ সৃষ্টি করার লক্ষ্যে।
ইসরায়েলি সরকার মোমবাতি প্রজ্বালন অনুষ্ঠান বা প্রচারণার বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। তবে, কর্মকর্তারা দাবি করেছেন যে আটকগুলি সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধ এবং জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয়। এই সমস্যাটি সম্ভবত ইসরায়েল-ফিলিস্তিন দ্বন্দ্বে একটি বিতর্কিত বিষয় হয়ে থাকবে, যেখানে উভয় পক্ষই প্রতিযোগিতামূলক বর্ণনা এবং দাবি উপস্থাপন করবে।
প্রচারণা চলতে থাকাকালীন, মানবাধিকার গোষ্ঠী এবং কর্মীরা সম্ভবত ফিলিস্তিনি বন্দীদের মুক্তি এবং ইসরায়েলি সরকারের কাছ থেকে বৃহত্তর স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতার জন্য চাপ সৃষ্টি করতে থাকবে। এই সমস্যাটি ইসরায়েল-ফিলিস্তিন দ্বন্দ্বে চলমান চ্যালেঞ্জগুলি তুলে ধরে এবং সকল পক্ষের অধিকার ও মর্যাদাকে সম্মান করে এমন একটি শান্তিপূর্ণ সমাধানের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে।
Discussion
Join 0 others in the conversation
Share Your Thoughts
Your voice matters in this discussion
Login to join the conversation
No comments yet
Be the first to share your thoughts!