দুইজন মার্কিন আধিকারিক, যারা অপারেশন সম্পর্কে জনসমক্ষে আলোচনা করার অনুমতি পাননি এবং গোপনীয়তার শর্তে কথা বলেছেন, ঘটনাটি নিশ্চিত করেছেন। আধিকারিকরা বলেছেন যে জাহাজটি আন্তর্জাতিক জলসীমায় থামানো হয়েছিল, তবে অবরোধের প্রকৃতি বা জাহাজের পণ্যসম্ভার সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্য প্রদান করেননি।
এই বিকাশটি এসেছে যখন ট্রাম্প এবং তার পরামর্শদাতারা ভেনেজুয়েলার সাথে খোলা সংঘর্ষের সম্ভাবনা বাদ দিতে অস্বীকার করেছেন, যেখানে এর প্রেসিডেন্ট, নিকোলাস মাদুরো, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে তার সরকারের বৈধতা স্বীকার করতে আহ্বান জানিয়েছেন। মাদুরো মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং নির্বাচনী অনিয়মিততার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য দেশ থেকে পদত্যাগের জন্য বাড়ছে চাপের মুখোমুখি হয়েছেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভেনেজুয়েলার উপর কঠোর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে, যা দেশটির তেল শিল্পকে লক্ষ্য করেছে, যা দেশটির আয়ের প্রধান উৎস। নিষেধাজ্ঞাগুলি ভেনেজুয়েলার অর্থনীতিকে পঙ্গু করে দিয়েছে, যার ফলে ব্যাপক দারিদ্র্য এবং খাদ্য ঘাটতি দেখা দিয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত জাতীয় পরিষদের নেতা হুয়ান গুয়াইদোকে ভেনেজুয়েলার অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি হিসেবেও স্বীকৃতি দিয়েছে।
ভেনেজুয়েলায় সংকटের সমাধান কীভাবে করা যায় সে বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বিভক্ত। ইউরোপীয় ইউনিয়ন সংঘর্ষের শান্তিপূর্ণ সমাধানের আহ্বান জানিয়েছে, যখন যুক্তরাজ্য এবং কানাডার মতো কিছু দেশ গুয়াইদোকে বৈধ প্রেসিডেন্ট হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। রাশিয়া এবং চীন, তবে, মাদুরোর সরকারকে সমর্থন চালিয়ে যাচ্ছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দাবি করেছে যে তার পদক্ষেপগুলি ভেনেজুয়েলায় গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং দেশটির তেল সম্পদকে ভুল হাতে পড়তে বাধা দেওয়ার লক্ষ্যে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মাদুরোকে অভিযুক্ত করেছে যে তিনি দেশটির তেল সম্পদ ব্যবহার করে তার শাসনকে সমর্থন করছেন এবং তার সামরিক বাহিনীকে অর্থায়ন করছেন।
আটকানো জাহাজের বর্তমান অবস্থা অস্পষ্ট, এবং এটি কী হবে তা জানা যায় না। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জাহাজ বা এর পণ্যসম্ভার সম্পর্কে আরও কোনও তথ্য প্রকাশ করেনি। ঘটনাটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ভেনেজুয়েলার মধ্যে উত্তেজনা বাড়িয়েছে, এবং এটি দেখা বাকি আছে যে পরিস্থিতি কীভাবে গড়িয়ে যাবে।
Discussion
Join 0 others in the conversation
Share Your Thoughts
Your voice matters in this discussion
Login to join the conversation
No comments yet
Be the first to share your thoughts!